২০১৩ সালের নির্বাচনে দেওয়া ইশতেহার অনেকটা বাস্তবায়ন করতে না পারলেও নগরবাসীর সামনে আরিফের উন্নয়ন ছিলো দৃশ্যমান। যার প্রতিফলন হিসেবে দ্বিতীয়বার সিসিকের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) মেয়র পদে বিজয়ী আরিফুল হক চৌধুরী শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই দিনে শপথ নেন সিসিকের নির্বাচিত কাউন্সিলররাও। তাদের শপথ করান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে ১০ চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে শপথ নিলেন বলেই জানালেন আরিফুল হক। জনগণের মূল্যায়নকে পুঁজি করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছেন এ নগরপিতা।
তার দৃষ্টিতে এক বছরের মধ্যে সিলেট নগরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। অবশ্য এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আগামী এক বছরের মধ্যে সিলেটকে বদলে দিতে চমক হিসেবে ৩ ধাপে দশ চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে কাজ করবেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তার মতে, পরিকল্পিত নগরায়নে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবেন তিনি। তাতে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন।
তিনি বলেন, কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সিসিকের সব ধরনের কর্মকাণ্ড ও সেবা অনলাইনভিত্তিক করা হবে। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। অনেক কাজ নগরভবনে না এসে ঘরে বসেই সারতে পারবেন নগরবাসী।
দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে চলমান উন্নয়ন কাজের পরিসমাপ্তি টানা, ফুটপাত পরিস্কার করা, রাস্তা সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচে নেওয়া, অনলাইনে সব ধরনের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানো, খাল উদ্ধার ও খননের পরিকল্পনার কথা জানান আরিফুল।
তিনি বলেন, এছাড়া নগরের রাস্তা প্রশস্তকরণ, হকার উচ্ছেদ, যানজট নিরসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতাও উল্লেখ্যযোগ্য।
জানালেন, ইশতেহারে দেওয়া ‘নতুন সিলেট’ বিনির্মাণে কাজ করবেন তিনি। নগরবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে এই নতুন নগরপিতা বলেন, আল্লাহ সহায় থাকলে নগরবাসীর প্রত্যাশাপূরণে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাবো এবং সফল হবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
এনইউ/ওএইচ/