বিকেলে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কাশেমের মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেন বুলবুল। মামলায় নির্বাচনের বিভিন্ন অসঙ্গতি, ক্ষমতাসীনদের কেন্দ্র দখল, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেয়রপদের ব্যালট শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা করার কথা স্বীকার করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মামলাটি করা হয়েছে।
তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিজয়ী প্রার্থীসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলার আরজিতে ঘোষিত রাসিক ফলাফল বাতিল করে বুলবুলকে মেয়র হিসেবে ঘোষণার দাবি করা হয়েছে।
আইনজীবীদের একজন অ্যাডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী জানান, আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচজন আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি শেষে বিচারক আবু সাঈদ মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই দলীয় প্রতীকে রাজশাহীর ১৩৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৮.৮৬ শতাংশ। মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৮শ ৮১ জন ভোটার। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (ধানের শীষ) ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম (হাত পাখা) ৩ হাজার ২৩ ভোট।
গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (হাতি) ১ হাজার ৫১ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান (কাঁঠাল) ৩২০ ভোট। পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে রাজশাহী সিটি করপোশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হন। নবনির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
এসএস/এএ