সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ৩০ অক্টোবরের পর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে।
নির্বাচনে প্রস্তুতি সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনেক বড় একটি কাজ। আমি আগেও বলেছি তফসিল ঘোষণার আগে যেসব কাজ থাকে তার ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পরবর্তী কাজের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসারদের তালিকা প্রনয়ণ করা এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেননা অনেকেই বদলি অথবা অবসরে চলে যান, তাই নির্বাচনের আগে এই তালিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৭-৮ হাজার ভোটকেন্দ্র হতে পারে। ফলে আমাদের ৪০ হাজার প্রিজাইডিং অফিসার, ২ লাখের মতো সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও এর চেয়েও দুইগুণ বেশি পুলিং অফিসারসহ ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে।
ভোটকেন্দ্র হালনাগাদের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ভোটগ্রহণের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্র হালনাগাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। জেলা বা উপজেলা পর্যায় থেকে যে তালিকা পাঠাবে, তা আমরা তদন্ত করবো নীতিমালা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে কি-না। পরে তা গান গেজেড আকারের প্রকাশ করা হবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য কার্যকর হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল মানেই হলো নির্বাচন করা, নির্বাচনের মাঠে থাকা। তাই আমরা আশা করবো সব রাজনৈতিক দল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
সচিব বলেন, ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ কমপ্লিট হয়েছে। এরইমধ্যে আমাদের ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটার তালিকা করা কমপ্লিট হয়েছে, সিডিও প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলা এবং উপজেলাতে সিডি পাঠিয়ে দেবো। ওখানে এই সিডি থেকেই ভোটার তালিকা মুদ্রণ করা হবে। এর পরবর্তীতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি তা হলো ৪০,১৯৯টি। গত ৫ আগস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর উপর আপত্তি বা আবেদন নিবেদন, বাড়ানো বা কমানো, স্থানান্তরের উপর আমরা ৩০ আগস্টের মধ্যে দরখাস্ত চেয়েছিলাম, অনেকগুলো পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস