মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) ইসি সচিবালয় থেকে এ আদেশ জারি হয়।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিলো, ইসি সচিবালয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে সিইসি ও ইসি সচিব ছাড়া অন্য নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হয় না।
এর প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ‘ইসি সচিবালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন বিধি-বিধান, রীতি, পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। ’
এতে আরও বলা হয়, ‘সচিবালয়ের কিছু কিছু কার্যক্রম ইসি সচিবালয় আইন ও কার্যপ্রণালী বিধিমালার বিধি বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে, যা ৪ নির্বাচন কমিশনারের নজরে এসেছে। এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রতিপালন করে ইসি সচিবালয়ের সব কাজ পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছেন। ’
আদেশে বলা হয়, ‘শাখা থেকে কোনো বিষয়ে নথি উপস্থাপনকালে তা কোন পর্যায়ে নিষ্পত্তি হবে, তা নথিতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বরাবর কোন নথি উপস্থাপন হবে, তা কার্যপ্রণালী বিধির তফসিলে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বরাবর উপস্থাপিতব্য বিষয়াদির ক্ষেত্রে এ বিধির ৩(৫) অনুসরণ করতে হবে। ’
সম্প্রতি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন ও বিধির ব্যত্যয় হচ্ছে। এজন্য চার নির্বাচন কমিশনার অভিযোগ করে এক আন-অফিসিয়াল নোটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ইসি সচিবকে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন-বিধিবিধান অনুসরণের তাগিদ দিয়ে নোটটি দেওয়া হয়েছে। সিইসি কে এম নুরুল হুদাকেও এ নোট দেওয়া হয়েছে।
চার নির্বাচন কমিশনারের নোটে বলা হয়েছিল- ‘নির্বাচন কমিশন কারর্যপ্রণালী বিধিমালার ৩ বিধির উপ-বিধি ৫ এ কমিশনের কাছে উপস্থাপিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। যে পদ্ধতিতেই নিষ্পত্তি করা হোক না কেন বিধির ৪(৪) উপ-বিধি মতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়াদি নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ’
বিধি-বিধান অনুসরণ সংক্রান্ত অফিস আদেশের মাধ্যমে ইসি সচিবালয়ে একক কর্তৃত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রশমিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এমআইএস/আরবি/