বুধবার (০৩ অক্টোবর) তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।
জগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে রাবেল পেয়েছেন চার হাজার ১৪৯ ভোট।
অপর দুই প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫৬ ভোট। আর নারকেল গাছ প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস পেয়েছেন তিন হাজার ৩৫৪ ভোট।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ২১ হাজার ৬৩২ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৯৫৮ জন এবং মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৬৭৪ জন। এর মধ্যে ১৫ হাজার ১০৯ ভোট কাস্ট হয়।
৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে জানিয়ে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মোট কাস্টিং ভোটের মধ্যে ৯৩টি বাতিল হয়। আর বৈধ ভোট ১৫ হাজার ১৬টি।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নয় কেন্দ্রের ৫৯ কক্ষে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপ নির্বাচনের মাধ্যমে সদ্য প্রয়াত মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরীর উত্তরসূরি হিসেবে রাবেলকেই পছন্দ করে নিলেন পৌরবাসী। জনতার রায়ে নতুনের বিজয় হলো মেয়র পদে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পাপলুকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রয়াত সিরাজুল জব্বার চৌধুরী।
ওই নির্বাচনে মেয়র পদে রাবেল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে হারলেও হাল ছাড়েননি। এবারও তিনি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
গত ৩১ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শূন্য পদে উপ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে পৌরসভার নতুন অভিভাবক হলেন রাবেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
এনইউ/টিএ