শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সিলেটে উন্নয়ন মেলায় নির্বাচন কমিশনের স্টলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা এখনো প্রস্তুতি পর্যায়ে আছি।
‘ইভিএম ব্যবহারের অনুমোদন পেলেও ৩০০ আসনে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ নির্বাচন কমিশনেরও এতো সক্ষমতা নেই। তবে কিছু আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। তা নির্ভর করছে কতটা মেশিন প্রস্তুত করা যায়, তার ওপর। ’
ইতোমধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করলেও কোনো অভিযোগ ছিল না বলে মন্তব্য করেন সিইসি।
অবশ্য রাজনৈতিক নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের ইভিএম দেখাতে পারিনি। আমরা কেবল শুরু করলাম। এখন ৬৪ জেলায় ইভিএম নিয়ে যাবো।
রাজনীতিবিদদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ভোট দিয়ে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখেন। তারপর ইভিএম এর ভালো-মন্দ দিকগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেন।
ইভিএম ব্যবহারের অনুমতি পেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর বাধার মুখে ভোটগ্রহণে তা ব্যবহারে আলোচনাসাপেক্ষেই করা হবে। এ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রয়োজনে পৃথকভাবে সংলাপে বসবে ইসি।
এরআগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে প্লেনযোগে সিলেট পৌঁছান সিইসি। রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
এনইউ/এএ