সোমবার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৩৬তম সভা শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় তিনি বেরিয়ে আসেন।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান।
মাহবুব তালুকদার কমিশন সভায়- নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীর কার্যপরিধি নির্ধারণ, সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন, ভোটে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। আর এ প্রস্তাব তিনি গত ৮ অক্টোবর কমিশনকে লিখিত আকারেও জানিয়েছিলেন।
সোমবারের বৈঠকে তাকে এই পাঁচটি বিষয়ে বক্তব্যের সুযোগ না দেওয়ায় জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে সভা বর্জন করেন।
সভা বর্জনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহবুব তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। যা বলার কমিশনকে বলেছি।
নোট অব ডিসেন্টে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার অধিকার খর্ব করতে পারে না, বাক স্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা আমার সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার। এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি এবং প্রতিবাদ স্বরূপ কমিশন সভা বর্জন করছি। '
গত ৩০ আগস্ট কমিশন সভাও বর্জন করেছিলেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে। কমিশন ইভিএমকে সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস