মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি উপলক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতি পাঁচ বছর পরপর সরকার পরিবর্তন হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সত্ত্বা। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কাজেই সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে কেউ কখনো বিচ্যুত হবেন না। আইনানুগ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় ব্রতী হবেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় পুরো জাতি একটি আবহ সৃষ্টি করে, জাতির মধ্যে আকূল আগ্রহের সৃষ্টি হয়। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হয়, নতুন সরকার গঠিত হয়।
ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করা, সুশীল সমাজ, মিডিয়াসহ অন্যদের পরামর্শ গ্রহণ করে নিজেদের বিবেক বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জাতিকে প্রত্যাশিত নির্বাচন উপহার দেবেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকার সিডি যাচাই ও মুদ্রণ; ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ এবং ক্ষেত্রমতে প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সংস্কার; ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন; নির্বাচনি উপকরণ সংগ্রহ, বিতরণ ও বাজেট প্রণয়ন; বিবিধ হচ্ছে আলোচনার বিষয়।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস