মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে এনবিআর আয়োজিত জরিপ, করনেট সম্প্রসারণ ও করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী নির্বাচন থেকে একটা উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা ফ্ল্যাট বাসায় থাকেন, তাদের সবার কাছে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে তারা ট্যাক্স দেন কিনা। এমন উদ্যোগ খুব শিগগিরই নেওয়া হবে।
মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের বছরে ৫ হাজার টাকা মাত্র ট্যাক্স। যা অনেকে জানেন না কিংবা ভয়ে জানতেও চান না। আগামী এক বছরের মধ্যে ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। রিটার্ন দাখিলের সংখ্যাও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, এজন্য ট্যাক্স অফিসকে আয়কর মেলার রূপ দিতে হবে। সেই সঙ্গে ট্যাক্স অফিসের সব কর্মকর্তার ব্যবহার ভালো করার পাশাপাশি অফিসের পরিবেশ উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, জনগণের টাকায় চোর, বাটপার লালন-পালনের কোনো মূল্য নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পালিয়ে যাবে। সেই টাকা জনগণের। ব্যাংকগুলোকে মূলধন দিচ্ছে সরকার। তাও জনগণের টাকায়৷ এটা কাম্য নয়। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় চোর, বাটপারদের পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই।
মেয়র বলেন, জনগণের ট্যাক্সের পয়সার স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে সবাই কর সঠিক সময়ে দেবে। এ বছর জাতীয় রাজস্ব রোর্ডকে ১২০ কোটি টাকা দিয়েছে ডিএসসিসি।
‘আমরা যেভাবে দিতে চাই, সেভাবে নিতে চাই’ এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ এর চতুর্থ তফসিলে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকার যে কর আদায় করবে, সেখান থেকে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে একটা উপকর দেবে। এটা আইনে পরিষ্কার বলা আছে।
মেয়র বলেন, ঢাকা শহর থেকে শুধু ট্যাক্স আদায় করলে হবে না। গ্রামের অনেক জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকেও ট্যাক্স আদায় করতে হবে। না হলে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার (ঢাকা অঞ্চল) মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়া উদ্দিন মাহমুদ ও সদস্য (আয়কর জরিপ ও পরিদর্শক) মোহাম্মদ গোলাম নবী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এসএম/আরবি/