মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সাক্ষাৎ করে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া আদেশের এমন ব্যাখ্য দিয়েছে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি। একইসঙ্গে সংগঠনটি বেশকিছু দাবিও তুলেছে।
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জানি তাই ব্যাখ্যা দিয়েছি-যে জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছেন আদালত। তাই জামায়াতের কোনো সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একইসঙ্গে এ দলটির সঙ্গে জোটগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সে দলও নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামও যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারবো।
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি, প্রথমত জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তি যেন নির্বাচনের সুযোগ না পায়। এজন্য প্রার্থীর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া, যে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, স্বাধীনতাবিরোধী নন, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নির্বাচনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নন বা সম্পৃক্ত নন।
দ্বিতীয়ত; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তৃতীয়ত, সেনাবাহিনীকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না করা।
বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/আরআর