শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ফোরাম আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন বক্তারা।
তারা বলেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য ৯০ দিন সময়ের প্রয়োজন।
এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগ দেখি না। যদিও বিভিন্ন ঐক্য তৈরি হয়েছে। এতে একটা ভালো বিরোধী দল তৈরি হবে। যেটা এতদিন ছিলো না।
তিনি বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এখনও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। এজন্য ইসির শক্ত অবস্থান দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভরন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ কোন সমাজের দিকে যাচ্ছে বলা কঠিন। দেশে টেকশই ও সমতাভিত্তিক অর্থনীতি গড়তে একটি নির্বাচন প্রয়োজন, গণতন্ত্রের প্রয়োজন। আগে নির্বাচন মানে উৎসব ছিলো আজ নির্বাচন মানেই ভীতি। কেউ ভোট দিতে পারেন কেউ ভোটের সুযোগ হারান।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, গত ১০ বছর ধরে তরুণ ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। আসন্ন নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার না থাকলে ভোট ছাড়া জাতির একটি যৌবনকাল চলে যাবে।
তিনি বলেন, আজকাল প্রায় সবারই ফোনালাপ ফাঁস হচ্ছে। যখন স্বর্ণ তামা হয়ে যায়, রিজার্ভ চুরি হয়ে যায় তখনও মন্ত্রী-এমপিরা কথা বলেন তাদের ফোনালাপ ফাঁস হয় না। নির্বাচনের আগেই গায়েবি মামলা দিয়ে বিরোধীদের ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, সৌদি যুবরাজের মতো দেশ চালানো হচ্ছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শামীম ওসমান আইভি সম্পর্কে মন্তব্য করলে খারাপ কিছু হয় না। কিন্তু মইনুল একটা কথা বললো অথচ তার জামিনযোগ্য মামলায় জামিন দেওয়া হচ্ছে না। জাফরুল্লাহকে মাছ চুরি, খাবার চুরির মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এর কারণ, তারা গণতন্ত্র উদ্ধারে কাজ করছেন।
সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাইতে হবে, ইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও ইসির কাছে সময় কম, এ সময়ের মধ্যেই একটা উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি শর্ত ছাড়া সবাইকে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম, এফ এ শামিম আহমেদ, ইখতেখার করিম, মাসুদ আজিজ, সংসদ সদস্য ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
ইএআর/এমজেএফ