ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
ইভিএম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না: সিইসি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: প্রধান নির্বাচন কশিনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আইনের ভিত্তিতে সবার মতামত নিয়ে সীমিত আকারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। এটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা পাবলিক হল (জিয়া হল) চত্বরে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও ইচ্ছের প্রতি সম্মান রেখেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার হবে।

মূলতঃ ভোটারদের স্বার্থরক্ষা করাই হবে ইভিএম পদ্ধতির ভূমিকা।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পাইলট আকারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়েছে, যা দক্ষতার সঙ্গে সফল হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভোট নিলে নির্বাচনী ব্যয় ও জনবল কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। যারা ইভিএমের বিরোধিতা করেন তাদের তিনি ইভিএম পদ্ধতি দেখে বুঝে পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির এবং পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।

সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। ইভিএম সম্পর্কিত উপস্থাপন করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। স্বাগত জানান খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী।

ইভিএম পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলো: জালভোট প্রদান, একজনের ভোট অন্যজনে প্রদান কিংবা একাধিক ভোট প্রদানের সুযোগ নেই; ইন্টারন্টে সংযোগ না থাকায় হ্যাকিং করার সুযোগ নেই; ভোট প্রদান শেষে খুবই স্বল্প সময়ে ভোট কেন্দ্রের ফলাফল প্রদান করা যায়; মাত্র দু’টি বোতাম চেপে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া ইভিএমে ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

পাবলিক হল চত্বরে প্রদর্শনীতে নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডের ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের ধারণা এবং ভোট গ্রহণের মহড়ার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইভিএম প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। ইভিএম প্রদর্শনীতে নগরীর ২টি ওয়ার্ডের চারটি এলাকার ৭ হাজার ৩৯ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন। উদ্বোধনের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট গ্রহণের জন্য ১৪টি কক্ষ ও ১৫ সেট ইভিএম মেশিন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।