সোমবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম মেলার উদ্বোধনী পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের প্রত্যেকটা জায়গায় চলে গেছে।
তিনি বলেন, ইভিএম এখনই আমাদের শুরু করতে হবে। ভুল হলে আমাদের প্রশ্ন থাকবে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। আবার এগিয়ে যেতে হবে। আবার ভুল হবে, আবার সামনে যাবো। প্রযুক্তি এক জায়গায় থেমে থাকে না। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। সেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ইভিএমকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে ভোটের অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করবো। মানুষ ভোট দিতে চায়, নির্বাচন কমিশন ভোটারদের জিম্মাদার। নির্বাচন কমিশনের উপর ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মেকানিজম পরিচালনা নির্ভর করে।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা যে ইভিএম প্রদর্শন করেছি, সেটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করেছি। কোনো ভোটার কোনো আপত্তি করেনি। তারা খুশি ছিলেন। আমাদের ভোটাররা যদি খুশি থাকে, আমরাও খুশি। ভোটাররা যদি নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন। আমরা নিশ্চিন্ত।
রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সিইসি আরো বলেন, আপনারা আসুন, আপনাদের মধ্যে যদি কোনো প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি থাকে নিয়ে আসুন। পরীক্ষা করুন, এই আহ্বান করছি। আমাদের যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকে তা শুধরে দিন। তবে এটা থেকে পিছিয়ে যাওয়ার আমাদের আর সুযোগ নেই। এটাকে নিয়ে আমাদের সামনে এগুতে হবে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি এবং আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় থাববে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাত ৯টায় সাধারণের উদ্দেশে ইভিএম প্রদর্শনী শেষ হবে। কিভাবে এই মেশিনে ভোট দিতে হয়, তা জানাতেই এই মেলার আয়োজন করে ইসি।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বরের পর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৯ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস