মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরুর আগে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা একথা বলেন।
সিইসি বলেন, নানা দিক বিবেচনা করে নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নাই।
কে এম নূরুল হুদা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, এবার নতুন আইনে এবং ভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হবে। তাই জাতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এছাড়া মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের থেকে চাপ আসলে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পালনে কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। কমিশনের আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করবেন। অতি উৎসাহী আচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চালক হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করতে হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেই গাড়ির ফুয়েল হিসেবে কাজ করে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আপনারা জনগুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করবেন।
দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে সোমবার (১২ নভেম্বর) ইসি ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের পুনঃতফসিল দেয়। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।
নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য বিভাগীয় কমিশনার এবং অন্য জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮/আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা
ইইউডি/আরআর