মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি একথা জানান।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম কিনতে আসায় যে ভিড় হচ্ছে তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না।
তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আসন থেকে তিনজন করেও যদি নমিনেশন নিতে আসে তাহলে ৯শ জন হয়। আর তাদের সঙ্গে যদি দু’জন করে আসে তাহেল ১৮শ জন হয়। তাহলে ৯শ ও ১৮শ জন মিলে হয় ২৭শ। এই তিন হাজার লোক কার্যালয়ের সামনে থাকেবে। এটাতো আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়।
‘এটাকে যদি আপনারা লেখেন আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে তাতে নিজের প্রতি অন্যায় করবেন। নিজের বাস্তবতার প্রতি অন্যায় করবেন। মানুষের প্রতি অন্যায় করবেন। বিএনপির প্রতি অন্যায় করবেন ‘
এদিকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি নিয়ে লোক সমাগম আচরণবিধির লঙ্ঘন না হলেও মিছিল, শোডাউনকে আচরণবিধির লঙ্ঘন বলছে ইসি। যে কারণে মহা পুলিশ পরিদর্শককে মঙ্গলবার এক নির্দেশনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
এর গত ১০ নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মনোনয়ন ফরম একটি নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে আচরণবিধি প্রতিপালন হচ্ছে বলে মনে করি না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি নিয়ে ধানমন্ডিতে মিছিল-শোডাউন, লোক সমাগম করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এএ