ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ অনাপত্তির কথা জানানো হয়।
এর আগে জনপ্রশাসস মন্ত্রণালয় থেকে ইসির ‘অনুমতি’ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন ফিরতি চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়ে অনাপত্তির কথা জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অনাপত্তি দিয়েছে।
অন্যদিকে ঐতিহ্য অন্বেষণ (প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র) সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অংশ নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইসি। শনিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় ‘ভাই গিরিশচন্দ্র সেন মিউজিয়াম, পাঁচদোনা, নরসিংদী’ নামক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনের অর্থায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি অরাজনৈতিক হওয়ায় সেটির বিষয়ে অনাপত্তি জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।
সংস্থাটিকে পাঠানো ফিরতি চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে- অর্থমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। চিঠিটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যায় না। নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা সময় বোঝানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
ইইউডি/এএ