আগামী বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে পুলিশের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকে পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ও মহা পুলিশ পরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (রিটার্নিং কর্মকর্তা) ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনে পুলিশ সদস্যরা যেন অতি উৎসাহী আচরণ করে কাউকে হেনস্তা না করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচালে কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে নজর রাখতেই এই বৈঠক। এতে নির্বাচন আচরণ বিধি, প্রার্থী ও সমর্থকদের করণীয়, অবৈধ অস্ত্রের প্রভাব, কালো টাকার প্রভাব, ভোটারদের সহায়তা এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে ব্রিফ করা হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা ঠিকমত পালন করতে পারেনি বলে অনেকের অভিযোগ এসেছিল নির্বাচন কমিশনে। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও ওঠে। নির্বাচন কমিশন অতীতে এসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে হর হামেশাই বদলী, প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পুলিশ সদস্য যেন কোনো নির্বাচনী অপরাধে না জড়িয়ে পড়েন সে বিষয়েও সতর্ক করা হবে হাই অফিসিয়াল এই বৈঠকে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর বাছাই। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। এদিন থেকেই প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় যেতে পারবেন।
অতীতে ফিরে তাকালে দেখা যায়, প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী সহিংসতা বা নির্বাচনী অপরাধ ঘটতে থাকে। এসব ঘটনায় সামলে নিতে ‘বিশেষ’ বৈঠকটি ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করছে ইসি।
বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
ইইউডি/এপি