দলের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে তাই নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
দলটি যে তিনটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা হলো-‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) উল্লেখিত ১২(৩) (বি) অনুচ্ছেদের আলোকে প্রাথমিক মনোনয়ন এবং ১৬(২) আলোকে চূড়ান্ত মনোনয়ন বিষয়ে অস্পষ্টতা দূরীকরণ করা প্রয়োজন।
‘মনোনয়নপত্র ফরমের সংযুক্তি-২ এ প্রাথমিক মনোনয়ন মর্মে উল্লেখ নাই। এতে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক মনোনয়ন ও চূড়ান্ত মনোনয়ন কিভাবে প্রদান করা হবে, তা স্পষ্টীকরণ। ’
‘২০ দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোট বা দল বা ঐক্যফ্রন্ট কী প্রক্রিয়ায় তা সম্পন্ন করবে। অর্থাৎ জোটভুক্ত দলগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রাথমিক মনোনয়ন দিবে কিনা?’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বা ২০ দলীয় জোটের প্রত্যেক নিবন্ধিত দল একটি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থী প্রাথমিক মনোনয়নপত্র দেওয়ার পর চূড়ান্ত মনোনয়নে ফ্রন্টের বা জোটের একটি দলের একজন প্রার্থীকে ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়ার পর জোট বা ফ্রন্টভুক্ত ওই আসনের অন্য বৈধ প্রার্থীদের মনোনয়ন বলবৎ থাকবে কিনা?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি বিএনপির চেয়ারপারসের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার নির্বাচন কমিশনে জমা দেন।
আরপিও ১৬(২) তে বলা আছে, কোনো আসনে কোনো দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন দল বা দলের মনোনীত ব্যক্তি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জানাবে। অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
২০১৩ সালে এক সংলাপে এসে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন আরপিওতে এমন সংশোধন আনে। এতে দল বা জোটের কোনো প্রার্থী ‘বিদ্রোহ’ প্রার্থী হিসেবে আর প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
ইসি কর্মকর্তা বলছেন, কোনো আসনে একাধিক বৈধ প্রার্থী থাকলে এবং দল বা জোট থেকে কোনো প্রার্থীর চূড়ান্ত নাম প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন না জানালে ওই আসনে সবগুলো প্রার্থীর মনোনয়নই বাতিল হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর বাছাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এমএ