সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আমরা পুলিশ মহা-পরিদর্শককে (আইজিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলেছিলাম।
তিনি বলেন, তদন্তের বিষয়ে কেউ যেন বাধা না দেয়। একইসঙ্গে যারা ঘটনায় জড়িত নয়, তাদের যেন কোনোভাবেই হয়রানি না করা হয়, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সেজন্য প্রতিটি দল ও ভোটারদের সতর্ক থাকার হুঁশিয়ারিও দেন ইসি সচিব।
পুলিশ ও বিএনপি একে অপরকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে, এক্ষেত্রে কেন পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিলো কমিশন?, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, পুলিশ তদন্তের যথাযথ কর্তৃপক্ষ, তাই তাদের কাছেই তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনায় তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার তালিকার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলার যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক মামলাই তফসিল ঘোষণার আগে হয়েছে। এগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তবে যেগুলো তফসিল ঘোষণার পর হয়েছে, সেগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশন আবার বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিএনপির চিঠির বিষয়ে সচিব বলেন, তারা ব্যাখ্যা চেয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে তার ব্যাখ্যা জানিয়ে দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস