সোমবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর, তালতলা, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এমনকি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের আশেপাশের এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকার সড়কের দেয়াল ছেয়ে গেছে রঙিন সব পোস্টারে।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটের নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের প্রচার চালানো যাবে না। এছাড়া সব ধরনের প্রচারসামগ্রী হবে সাদাকালো। প্রথম দফা গত ৮ নভেম্বর তফসিল অনুযায়ী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এসব প্রচারসামগ্রী তুলে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল হওয়ায় তিন দিন বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
ইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও এখনও নগরীতে অনেকের পোস্টার রয়ে গেছে তাও আবার রঙিন। যেসব পোস্টার দেখা গেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ আওইয়ামী লীগ বা ‘নৌকা মার্কা’ এবং জাতীয় পার্টি বা ‘লাঙ্গল মার্কা’র সংবলিত। জানা গেছে, এ দুই দল ছাড়া অন্য কোন দলের পোস্টার লাগানো হলে তা এ দুই দলের রাজনৈতিক কর্মীরা ছিঁড়ে ফেলছেন। এ নিয়ে এলাকাগুলোতে ছোট ছোট সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মিরপুর এলাকায় মূল সড়কের আশেপাশে না থাকলেও ওলিগলির সর্বত্র রয়েছে পোস্টার। আবার এলাকাগুলোতে খোদ রাজনৈতিক অফিসগুলোত দেখা গেছে পোস্টার সাঁটানো। জানতে চাইলে, পোস্টার নামানোর প্রয়োজন বোধ করছেন না নেতারা বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক কর্মী।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ছয়টি ভ্রাম্যমাণ টিম মাঠে নামে সোমবার (১৯ নভেম্বর)। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
এজন্য এর আগেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে পোস্টার অপসারণের আহ্বান জানিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার থেকে ছয়টি টিম সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান পরিচালিত হয়েঠে সাত জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির মিরপুর জোনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা গুল্লাল সিংহ বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে আমাদের পোস্টার অপসারণের কাজ চলছে। এর আগে নেতারা তাদের নেতৃত্বে পোস্টার সরিয়েছেন। এখন আমরা সরাচ্ছি।
পোস্টার বা প্রচারণামূলক উপাদান থাকার কারণে শাস্তির বিধান অনুসারে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে গুল্লাল সিংহ বলেন, শাস্তি দিতে গেলে তো আমাদের প্রমাণ করতে হবে কে পোস্টারটি লাগিয়েছে। সাধারণত দেখা যায় যার নামে পোস্টার তিনি অস্বীকার করেন। আর যদি আমাদের প্রমাণ করা সম্ভব হয় ওই নেতার নির্দেশেই পোস্টার লাগানো হয়েছে তাহলে বিধান অনুসারে শাস্তি দেওয়া হবে। তবে এখন পোস্টার সরানোর কাজ চলছে।
তালতলার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পোস্টারের কথা জানালে ডিএনসিসির মিরপুর জোনের ওই কর্মকর্তা বলেন, এটা হয়তো আবার নতুন করে লাগিয়েছে। আমরা সেখানে আবার যাবো ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ