তিনি বলছেন, এমন কোনো কাজ পর্যবেক্ষকরা করতে পারবেন না, যা নির্বাচনের নীতিমালায় নেই। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় একজন পর্যবেক্ষক কোনো গোপন তথ্য দিতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি তাদের এ সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেন।
হেলালুদ্দীন বলেন, দায়িত্ব পালনে পর্যবেক্ষকদের কোনো গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভোট নিয়ে কোনো কেন্দ্রে যদি অনিয়ম হয়, আর সেটা পর্যবেক্ষকদের নজড়ে আসে, তবে তারা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে পারবেন। কিন্তু ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। যদি কিছু বলতে হয়, তবে এর প্রতিবেদন তৈরি করে সেটা জমা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলতে হবে।
তিনি পর্যবেক্ষকদের সতর্ক করে বলেন, গণমাধ্যমে পর্যবেক্ষকরা কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। এছাড়া পর্যবেক্ষক কোনো লাইভ সম্প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। সেইসঙ্গে পর্যবেক্ষক যেনো এমন কোনো আচরণ না করেন, যাতে করে তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন বোঝা যায়।
‘পর্যবেক্ষক গলায় কার্ড ঝুলিয়ে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবেন। তিনি শুধু দেখবেন, অবজার্ভ করবেন, বুঝবেন। তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে কোনো মন্তব্য তিনি করবেন না। নয়তো ওই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন ইসি সচিব। ’
এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান ও এএসএম আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসিতে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষকের সংস্থা ১১৮টি। যারা নিজ অর্থায়নে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে।
আসছে ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
ইইউডি/টিএ