রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (জেলা প্রশাসক) ডাকার বিষয়ে বিএনপির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একথা বলেন।
নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ করবেন কি না- সাংবদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আজকে কমিশন একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সবগুলো বিষয় মিলিয়ে সরকারকে আমরা একটা পত্র দেব।
‘রির্টানিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন হওয়ায় তাদের যাতে অন্য কোনোভাবে কেউ ডেকে সভা না করে, এসব ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেব। ’
ইসি সচিব আরো বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন তা তদন্ত করে দেখবে। সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কমিশন তা খতিয়ে দেখবে, তলিয়ে দেখবে, তদন্ত করবে, তারপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রির্টানিং কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সভা করা হয়েছে- এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিহিত নই। যেহেতু একটি অভিযোগ এসেছে, আমরা খতিয়ে দেখব।
বিএনপির অভিযোগ তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার-আসার পথে সাদা পোশাকের লোকজন তাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে- এর জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমরা অভিহিত নই। আমরা যদি এ বিষয়ে অভিযোগ পাই তাহলে ব্যবস্থা নেব।
ইসি সচিবের শাস্তি ও বদলি ব্যাপারে বিএনপির দাবির বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্তগুলো হয়, ওই সিদ্ধান্তের মুখপাত্র হিসেবে ও সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য ইসি সচিব সব ধরনের কাজ করে থাকে। এখানে নির্বাচন কমিশন সচিবের আলাদা কোনো সত্তা নেই। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের। ইতিমধ্যে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে তা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।
মেন্টরদের তালিকা প্রসঙ্গে সচিব বলে, মন্ত্রিপরিষদ ১৩ নভেম্বর মেন্টর নিয়োগের আদেশটি বাতিল করেছে। জেলাতে মেন্টর নিয়োগের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন জেলায় মেন্টর নিয়োগ করে থাকে।
তফসিল ঘোষণার দিন মেন্টর নিয়োগ করা হয়েছে, তবুও কেন কমিশনকে জানানো হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিহিত নই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনাররা নিজেরা বসে নিয়েছেন। এখানে কানো চাপ বা পরামর্শে সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে বিএনপির দাবির প্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, ঢালাওভাবে প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করবে না। প্রত্যেকটি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখবে কী কারণে বদলি চায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ