দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি শনিবার (২৪ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দফতরে পৌঁছে দেন বিএনপির মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান।
চিঠি জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তিনবার করে (১৫, ১৭ ও ২০ নভেম্বর) চিঠি দিয়েছিলাম- আমাদের একজন লোক নিখোঁজ।
কমিশন বলে আসছে, নির্দেশনা দিয়েছে। জীবিত থাকতে নির্দেশনা দেয়নি; মারা যাওয়ার পর দিয়ে কী হবে। কমিশন আগে কী করেছে- এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল চিঠিতে উল্লেখ্য করেন, যশোরের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু বক্কর আবুর বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করা হয়েছিল। পরে তার মরদেহ বুড়িগঙ্গায় পাওয়া যায়। কিন্তু আবুর মৃত্যু নিয়ে কমিশন নিরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করে দলটি। পরদিন সিইসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। এ নিয়ে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এর দায় কমিশন এড়াতে পারে না।
নতুন করে গ্রেফতার ২১ জনের মধ্যে রয়েছে- রমনা থানা ছাত্রদল নেতা জুয়েল রানা (গ্রেফতারের পর নিখোঁজ), রূপনগর থানার বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, রূপনগর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম সিপু ও যুবদলের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, শাহজাহান সিকদার, মিন্টু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, মাসুম, সুত্রাপুর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপি ওয়ার্ড নেতা কাউছার আহমেদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন, খিলক্ষেত থাকার ৪৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ভুঁইয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা বিএনপি সদস্য আলমগীর মেম্বর, পৌর বিএনপি সদস্য আব্দুল খালেক, পৌর যুবদলের সদস্য রুবেল মিয়া, ভৈরব শিমুলকান্দি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল, পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া ফারুক, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার মিয়া, কুমিল্লা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ আউয়াল খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ