৪০তম কমিশন সভায় বসে শনিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি নেয় নির্বাচন কমিশন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী সবাই ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ‘উনি উপস্থিত ছিলেন। উনি যেহেতু বিরোধীতা করেননি, ধরে নিতে হবে উনি সম্মতি দিয়েছেন। ’ একজন কমিশনার অনেকদিন ধরে বিরোধীতা করেছেন, তিনি কি সম্মতি দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এ কথা জানান।
মাহবুব তালুকদার এর আগে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে কারও বক্তব্য না শুনে কমিশন সভা বর্জন করেছিলেন।
গত ৩০ আগস্টের ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত ওই বৈঠকে তিনি বলেছিলেন-যন্ত্রের অগ্রগতির সময়ে আমি মোটেও ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে না। তবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা ঠিক হবে না। ’
তিনি বলেছিলেন, আমি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছি দু'টি কারণে। আমাদের কমিশন শুরু থেকেই বলে আসছিল সব রাজনৈতিক দল না চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। আমি আমাদের সংলাপের বই খুলে দেখলাম অধিকাংশ দল ইভিএম এর বিপক্ষে, তবে কিছু কিছু দল পক্ষে। কাজেই আমরা যে বক্তব্য রেখেছিলাম সেটা তো রাখতে পারছি না।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহর ও সিটি অঞ্চলের ৬টি আসনের প্রায় ৯’শ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরে সদস্যের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ মেশিন পরিচালনা করবে।
সূত্র জানিয়েছে, ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মাহবুব তালুকদার কমিশন বৈঠক বর্জন করলেও ৪০তম সভায় বিরোধীতা করে কোনো বক্তব্য দেননি। এমনকি তার নিজস্ব ধারা অনুযায়ী, কমিশন সভার জন্য ইভিএমের নিয়ে কোনো লিখিত প্রস্তাবও উপস্থাপন করেননি।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
**ফের নির্বাচন কমিশন সভা বর্জন করলেন মাহবুব তালুকদার
**ইভিএম ব্যবহার করা ঠিক হবে না: মাহবুব
**অপমানিত হয়েছি: মাহবুব তালুকদার
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ