শিগগিরই দলগুলোকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্থানীয় সরকার প্রধানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন কি না, সম্প্রতি বিএনপি ব্যাখ্যা চাইলে আইন পর্যালোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) ৪০-তম কমিশন সভায় বসে নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্তের দিকেই এগুচ্ছে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোর কোথাও কোথাও স্বপদে থেকে স্থানীয় সরকার প্রধানরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর সিটি মেয়রদের পদত্যাগ করেই নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু উপজেলা, পৌরসভার মতো প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ভোটে দাঁড়াতে পারবে কি না, তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। তাই বিএনপিসহ কয়েকটি দল এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা এর ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।
ইসির আইন শাখা পর্যাপ্ত রেফারেন্স ও আদালতে নির্দেশনাসহ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করলে কমিশন স্বপদে থেকে স্থানীয় সরকার প্রধানদের নির্বাচনে থাকার কোনো কারণ খুঁজে পায়নি। কমিশনের মতে, স্থানীয় সরকার প্রধানদের পদ লাভজনক। আর লাভজনক পদে থেকে নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার কোনো সুযোগ আইনে নেই।
নির্বাচন কমিশনার সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, শিগগিরই দলগুলোকে আমাদের ব্যাখ্যা জানিয়ে দেবো।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবারের বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হিসেবে তারা স্বপদে থেকে ভোট করতে পারবেন না। রোববার আরো আলোচনার পর কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
সূত্র জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত যাই হোক, দ্রুত দলগুলোকে ব্যাখ্যা জানিয়ে দেওয়া হবে। কেননা, মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দলগুলোকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
নবম সংসদ নির্বাচনে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদে থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের অযোগ্য করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে একাধিক রিট করা হয় এবং ভিন্ন ভিন্ন আদেশ হয়। আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকে সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। তারা পদত্যাগ করেছিলেন বিজয়ী হওয়ার পর।
ইসি সচিবালয়ের প্রস্তাবনাতে উল্লেখ রয়েছে- উপজেলা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস-প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা-কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশন সমূহে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ জাতীয় সংসদের প্রার্থী হওয়ার কতদিন আগে পদত্যাগ করতে হবে, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এ প্রস্তাবনার ওপরেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়পত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ