ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ না হলে সেটা কালো আইন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
‘আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ না হলে সেটা কালো আইন’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে সেটি আইন নয়, কালো আইনে পরিণত হয়। সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না করলে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

মাহবুব তালুকদার বলেন, একটা কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। এই কথাটা অবশ্যই ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কারণ আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে, নির্বাচন কখনও আইনানুগ হতে পারে না। সুতরাং যখনই আমরা বলবো নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে।  

‘তখনেই এর সঙ্গে এটাও বলতে হবে, আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে দিতে হবে। এটা করার দায়িত্ব আপনাদেরই (ম্যাজিস্ট্রেটদের)। ’

তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার একজন রাজা অভিনব কায়দায় বিচার করতেন। একটা গ্লাসে শরবত, একটাতে বিষ আরেকটাতে পানি রাখা হতো। দোষীরা আসতো। বিষ পান করলে মারা যেতো। পানি পান করলে অব্যাহতি পেতো। আর শরবত পান করলে পুরস্কৃত হতো। অনেকে তার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। উত্তরে রাজা বলেছিলেন, আমি তো রাজা, বিচারক নই। আমি তো বিচারের আইন-কানুন কিছুই জানি না।  

‘যিনি অপরাধী তার বিচার করেন ভাগ্য বিধাতা। আমি পুরোটাই ভাগ্য বিধাতার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এই বিচারে তিনিই আসল বিচারক। সেই রাজার বিচার ব্যবস্থা এখন আর নেই। এখন বিচারকরাই বিচার করে থাকেন। বিচারকরাই ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। ’

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনারা সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের ব্যবহার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।

মাহবুব তালুকদার বলেন, নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে সেটি আইন নয়, কালো আইন। সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না করলে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। যা আমরা তা কখনও চাই না। '

সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটদের সমান দায়িত্ব। যারা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করবেন তারা যিনিই হোন না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেটদের) কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। উপস্থিত ছিলেন  অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যন্যা কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ইইউডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।