বিদেশি পর্যবেক্ষক সংক্রান্ত রোববারের (২৫ নভেম্বর) এ বৈঠকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৈঠক সূত্র সূত্র জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ায় কাউকে কাউকে অন অ্যারাইভাল আবার কাউকে দূতাবাস থেকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি বললেই চলে। তাই নির্বাচন কমিশন এবার বিদেশিদের আকর্ষণে এসব উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষক বা সাংবাদিক যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসছেন, তারা যে হোটেলে থাকবেন, সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও থাকছে। হোটেলের রুম ভাড়া, খাবার মূল্যও কম রাখা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনদের সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) প্রতিটি দেশ (ভারত, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) থেকে দু’জন সদস্যকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে- অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ান ইলেক্টোরাল অথরিটি, অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডি (এডব্লিউইবি) -কেও। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ওআইসি ও কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শিগগিরই চিঠি দেওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে যেন কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় কমিশন সংশ্লিষ্ট দফতরকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আর কয়েকটি সংস্থাকে চিঠি দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। অনুমোদন দিলেই চিঠি পাঠিয়ে দেবো।
সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৪ জন বিদেশি পর্যবেক্ষণ করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ৫৯৩ জন বিদেশি, ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ২২৫ জন বিদেশি, ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিদেশি ২৬৫ জন ও ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিদেশিদের আগ্রহ এখনো দেখা যায়নি। বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসবেনা বলে নিজ থেকেই জানিয়ে দিয়েছে।
**দল নয়, প্রার্থীর অভিযোগ আমলে নেবে ইসি
বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ