ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজনীতিকদের ওপর আস্থা রাখতে বললেন সিইসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
রাজনীতিকদের ওপর আস্থা রাখতে বললেন সিইসি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ওপর আস্থা রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। 

তিনি বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আপনাদের কাজ। যারা দেশের শাসনভার গ্রহণ করবেন, যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, যারা মন্ত্রী, স্পিকার, দেশ পরিচালনা করবেন।

নির্বাচনে যারা অংশ নেবেন তারা প্রত্যেকে সম্মানীয় ব্যক্তি। আমি জানি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদের কখনও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবেন না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন ও তাদের কথা শুনতে হবে। ’  

সোমবার (২৬ নভেম্বর)নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের শেষদিনের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন।  

এই কার্যক্রমে ৬৯১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফিং দিয়েছে কমিশন।  

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্য করে কেএম নূরুল হুদা বলেন, আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ একটা নির্বাচন করতে চাই। অবাধ মানে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরবে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে বসবাস করবেন।  

‘পরিবেশ-পরিস্থিতি অর্থাৎ চারদিকের পরিবেশ নিরাপদ বজায় রাখার দায়িত্বে থাকবেন আপনারা। বেশ গুরুত্ব সহকারে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ’

ভোটের দিনের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। যা আপনাদের বিচলিতও করে, অনেক সময় নানা কারণে উশকানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হতে পারে। মিসগাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। সেই সব অবস্থায় আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে তা বুঝতে হবে যে, আসলে অবস্থা কি? 

‘কোন ঘটনা সত্য বা মিথ্যা তা আপনাদের বুঝতে হবে।  আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিজাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন। ’   

তিনি বলেন, কখনেও ধৈর্য্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনো বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং জেনে- বুঝে, অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিত শান্ত হবে।  

সিইসি বলেন, কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক ও সেখানে কোনো রকম রক্তপাত অথবা প্রাণহানির ঘটনা হোক। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগে এবং পরের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের পরিচালনার দায়িত্বে আপনাদের থাকতে হবে। ’ 

ম্যাজিস্ট্রেটদের ভালোভাবে আচরণ বিধি রপ্ত করার পরামর্শ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণ বিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে যেনো এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট, সুতরাং সেই বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে কখনও নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি ব্যাহত হয়।  

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনাররাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।