নির্বাচন ভবনে এসে সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে এ সংক্রান্ত চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের বিভিন্ন চিঠিপত্রে একটি কমন স্লোগান রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পুলিশ এখনও প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা কি করে, তাদের ছেলেমেয়েরা কি করে, আত্মীয়রা কি করে তার খোঁজ নিচ্ছে। এতে তারা বিব্রত হচ্ছে ও ভয় পাচ্ছে। অনেকে এই দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে বলছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে হয় তারা (ইসি) তালিকাটি চূড়ান্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুলিশ এ তালিকা সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সরকারের হয়ে পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। ফলে আমরা চাই এই তালিকা পুননির্ধারণ করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হোক এবং আগামী ১০ তারিখের আগে যেন এই তালিকা চূড়ান্ত করা না হয়। তালিকা চূড়ান্ত করার পর যেন তা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেন।
এছাড়া ব্যাংকগুলোর করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ড থেকে গরিবদের মধ্যে কম্বল বিতরণের চেষ্টা করা হয়। এখন এ কম্বলগুলো এমপিদের মাধ্যমে বিতরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গরিব মানুষেরা কম্বল না পাক এটা আমরা চাই না। তবে আমরা চাই এমপিরা বিতরণ না করে এগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিতরণ করেন এবং স্থানীয় নেতারা এতে সম্পৃক্ত না থাকেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই কোনোভাবেই যেন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না হয়। এটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হলেও আমরা চাইবো নির্বাচন কমিশন যেন এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/আরআর