নির্বাচন ভবনে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে।
সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি ড. মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, ট্রেজারার নাসরিন আক্তার ও অ্যাডভোকেট মো. আহসান উল্লাহ ইসির প্রাপ্তি জারি শাখায় চিঠিটি জমা দেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের সংবিধানের নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে ইভিএম ব্যবহারের একক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও ইভিএম’র মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো কথা নেই।
আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে কমিশন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। পর্যবেক্ষকদের বলেছেন-পর্যবেক্ষকেরা ভোটকেন্দ্রে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছেন- প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ওই অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে। পুলিশ যা কিছু করছে তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই করছে। এতে করে ফেয়ার নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে এবং ইভিএম ব্যবহারের একক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারেরও অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস