সোমবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বরের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা দেওয়া নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি নিতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করা বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর অনুযায়ী নির্বাচনের আগে অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ দেওয়া বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না।
‘এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন। ’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থী নির্বাচনী এলাকার সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন বা অন্য সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজের জন্য নিতে পারবেন না। এমনকি মাশুল দিয়েও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয় সংক্রান্ত কোনো দরপত্র আহ্বান করা কিংবা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। এ সময়ে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করাও যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এমআইএইচ/ওএইচ/