মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত পাঠানো হয়েছে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে পারবেন না, এমন কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কেউ ব্রিফ করতে পারবেন না, সে নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদকে দেওয়া হয়েছে। কাজেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বা ব্রিফ করতে কোনো বাধা নেই। যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন, তাই সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, দফতর তাদের ব্রিফ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কেবল নির্বাচন কমিশনেই ব্রিফ করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে অভিযোগ করা হয়-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের ডেকে নিয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাই নির্বাচন কমিশন মন্ত্রিপরিষদকে ওই নির্দেশনা দেয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেন চাকরি বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীন। তাই নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত তারা ইসির অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এছাড়া সকারের উন্নয়ন, প্রশাসনিক বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্রিফে অংশ নিতে পারবেন।
স্থানীয় সরকার প্রধানদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দণ্ডবিধির ২১ ধারা অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত নয় এমন ব্যক্তি যিনি লাভজনক পদে আছেন, তাকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
আইন অনুযায়ী, সিটির মেয়ররা আগে থেকেই স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আর পৌরসভা মেয়রা পদে থেকে নির্বাচন করতে আদালতের আদেশ নিয়েছেন। তাই তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে অন্য কোনো স্থানীয় সরকার প্রধানরা পারবেন না।
সচিব বলেন, সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কোনো নিয়মিত, স্থায়ী পদ না। তাই তারা স্বপদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
সচিব আরো বলেন, আজ আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ নিজ বাহিনীর বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে আনসার বাহিনীকে পুরো টাকা অগ্রিম দেবো। পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যদের ৫০ শতাংশ অগ্রিম দেওয়া হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
ইইউডি/এএ