নির্বাচন ভবনের নিজ কারর্যলয়ে শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন তা আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়।
২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রায় দেড়শো উচ্চপদস্থ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বিএনপি এটাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করছে। বিষয়টি নজরে আনলে কমিশনার এ উত্তর দেন।
তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বলেন, এখানে যদি কেউ আসে, এসে যদি আমাকে বলেন- আপনি যে কাজ করছেন তা ভালো করছেন। ভবিষ্যতে যেনো এটা অব্যাহত থাকে। এটা আমাকে এক ধরনের মানসিক সমর্থন যোগানো। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটা কি আচরণবিধির কোনো ধারা লঙ্ঘন বলে কি আপনারা মনে করছেন। যদি মনে করেন তাহলে কোন ধারাটা লঙ্ঘন, বলেন।
তফসিল ঘোষণার পর এটা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনিতো (প্রধানমন্ত্রী) সরকারে আছেন। লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হলেও সংবিধানে অনুযায়ী অধিষ্ঠিত নয় বলে ওনার জন্য প্রযোজ্য হবে। এখন ওনার বাসভবন ছেড়ে তো উনি যেতে পারবেন না। এখন উনি এটা কোথায় করবেন বলেন তো। কারো সঙ্গে যদি দেখা করতে চান, তাহলে কোথায় দেখা করবেন?
‘ওনারা আসছেন, দেখা করছেন, সমর্থন জানিয়েছেন। নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। এখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু আচরণবিধিমালা বুঝি, আমার কাছে মনে হচ্ছে না যে এটা কোনোভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তবে বঙ্গভবন বা গণভবনে নির্বাচনী প্রচারণা চালালে অবশ্যই আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। আমরা তখন ব্যবস্থা নেবো।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
কামরাঙ্গীরচরের ওসি প্রত্যাহার দাবিতে ইসিতে চিঠি
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/এএ