সংস্থাটির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশনা অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দফতরে পাঠানো হয়েছে।
২৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের তরফ থেকে ইসিতে করা আবেদনে টঙ্গী ময়দানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের (৩০ ডিসেম্বর) আগে এ ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
তাবলিগ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের জোড় (সম্মিলন) এবং আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। অপরদিকে তাবলিগের দেওবন্দপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় এবং আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা করবেন।
এই বিবাদের জেরে আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে দেওবন্দিপন্থীরা মাঠ দখল করে পাহারা দিচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সাদপন্থীরা। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাদপন্থী তাবলিগের অনুসারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/এইচএ/