রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রার্থীদের উল্লেখ করা তথ্যানুযায়ী,
বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুস সোবাহান পেশা হিসেবে নিজেকে সাংসারিক ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবদুস সোবাহানের থেকে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ যেমন বেশি তেমন বছরে তার আয়ের থেকে নির্ভরশালীদের আয়ও বেশি।
নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী এবং হলফনামায় আয়ের কথা উল্লেখ করেননি বরিশাল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সরফুদ্দিন সান্টু। এমনকি তার থেকে তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেশি। অস্থাবরের মধ্যে তার রয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৭২৮ টাকার সম্পত্তি ও তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৫ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্থাবরের মধ্যে রয়েছে ১৬ বিঘার ওপরে কৃষিজমি, একটি দোতলাবাড়ি ছাড়াও ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫২৮ সম্পত্তি ও তার স্ত্রীর ৬ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ফলে প্রার্থীর থেকে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণই বেশি।
এই আসনে বিএনপির সৈয়দ শহিদুল হক জামাল পেশায় পরামর্শদাতা। এই প্রার্থীর থেকে তার স্ত্রীর বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অস্থাবরের মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬০১ টাকার সম্পত্তি ও তার স্ত্রীর ১ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৪ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্থাবরের মধ্যে রয়েছে ১৬ বিঘার ওপরে কৃষি জমি, একটি দোতলাবাড়ি ছাড়াও ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫২৮ সম্পত্তি ও তার স্ত্রীর ৬ কোটি ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৪৭ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। যেখানে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমানই বেশি।
বরিশাল-৬ আসনে বিএনপির অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ খান পেশায় একজন আইনজীবী। ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে প্রার্থীর নিজের এবং তার স্ত্রীর ১৮ লাখ টাকার সম্পদ ও বিয়েকালীন ১০ ভরি অলংকার রয়েছে। পাশাপাশি স্থাবর সম্পদে ৪ লাখ টাকার একটি বাড়ি ও আড়াইলাখ টাকার জমি রয়েছে প্রার্থীর নিজ নামে, এছাড়া স্ত্রীর নামে ৪৬ লাখ টাকার জমি ও দালান এবং নির্ভরশীলদের নামে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জমি রয়েছে। একই আসনে জাসদের মো. মোহসীন ডিপ্লোমা ইন কমার্স পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে প্রার্থীর নিজের এবং তার স্ত্রীর নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। স্থাবর সম্পদে প্রার্থীর নিজের নামে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি পিস্তল ও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএস/এএটি