রোববার (০২ ডিসেম্বর) বাছাইকালে তাদের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকার কারণে বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজি এমদাদুল হক।
ছয়টি আসনের মধ্যে সিলেট-১ আসনে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়।
সিলেট-২ আসনে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ভোটারদের স্বাক্ষর মিল না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক সর্দার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রব ও মুহিবুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। অন্য ৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গণ্য হয়।
সিলেট-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বৈধ ঘোষণা করা হয় ১০ জনকে। ভোটারদের স্বাক্ষর না থাকায় অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ, জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও বিএনপির আব্দুল কাইয়ুমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। কাইয়ুম মূল ফরমে স্বাক্ষর করেননি।
সিলেট-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসমাইল আলী আশিক দলীয় মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র জমা দিতে না পারায় ছিটকে পড়েন। এ আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সিলেট-৫ আসনে ১২ প্রার্থীর ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৩২ টাকা বিদ্যুৎ বিল খেলাপির দায়ে ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ মতিন চৌধুরীর, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় স্বতন্ত্র ফয়জুল মুনীর চৌধুরীর, ঋণ ও বিল খেলাপির দায়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নুরুল আমিনের, ভোটার স্বাক্ষর ও ৪৩ হাজার ৪১৮ টাকা বিল খেলাপির দায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমদ আল ওয়ালীর এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এছাড়া সিলেট-৬ আসনে ভোটার তথ্য ভুল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়ার ও জাতীয় পার্টির মনোনয়নের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একই আসনে মনোনয়ন দাখিল করা এবং স্বাক্ষর না থাকায় বিরোধী দলীয় হুইপ জাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সেলিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, বাতিলকৃত প্রার্থীরা তার আদেশের কপিসহ আপিল করতে পারবেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮/আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা
এনইউ/এসএইচ/জেডএস