রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং অফিসার ফয়েজ আহাম্মদ খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
তবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে এ আসনে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। মাহবুবর রহমান বগুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
একই আসনে বিএনপি থেকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দেওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এবং মহাজোট প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনেও একই কারণ দেখিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোর্শদ মিলটন ও শাজহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সরকার বাদলের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। কারাগারে থাকলেও ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদাকে প্রার্থী করে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনটি মনোনয়নপত্রই সাজার কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে গেছে বিএনপি প্রধানের।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদাকে ৫ বছরের দণ্ড দেন আদালত। এরপর ওইদিন থেকেই ঢাকার পুরান কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
কারাগারে যাওয়ার আট মাসের মাথায় গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সাজা কমানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামি। কিন্তু গত ৩০ অক্টোবর তা খারিজ করে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এসএইচ