এদের মধ্যে বিএনপির দুইজন, জাতীয় পার্টির (জাপা) দুইজন, খেলাফত আন্দোলনের একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১ জন।
রোববার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে ১৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সেবাস্ট্রিন রেমা।
এসময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরুজা বারী, এমদাদুল হক নাদিম, জয়নাল আবেদিন সরদার, আব্দুর রহমান, জাপার এবিএম মিজানুর রহমান ও খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। আফরুজা বারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ও প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড় বোন। এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১৬ জন প্রার্থী।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তিনজনের। তারা হলেন- স্বতন্ত্র একেএম রেজাউল কবীর, মোকদুবার রহমান সরকার ও ওয়াহিদ মুরাদ। এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১১ জন।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে পাঁচজনের। তারা হলেন- বিএনপির রফিকুল ইসলাম রফিক, জাপার মঞ্জুরুল হক সাচ্ছা, স্বতন্ত্র আমিনুল ইসলাম, আবু জাহিদ নিউ ও মিজানুর রহমান টিটু। এ আসনে মনোনয়ন জমা দেন ১৫ জন।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে শুধু একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তিনি হলেন- আব্দুর রহিম সরকার। আব্দুর রহিম সরকার জেলা জামায়াতের আমির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। ভোটার তালিকায় তথ্যের গরমিল থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়ন জমা দেন ১৩ জন প্রার্থী।
গাইবান্ধা-৫ (ফলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে একজনের। তিনি হলেন- বিএনপির নাজেমুল ইসলাম প্রধান। ব্যাংক ঋণ খেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ আসনে মনোনয়ন জমা দেয় নয়জন।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সেবাস্ট্রিন রেমা বলেন, গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয় ৬৪ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ও ঠিকমতো কাগজপত্র না থাকা, ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এছাড়া বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই এক শতাংশ ভোটার তালিকায় তথ্যে গরমিল পাওয়া তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ১২০ টাকার কোর্ট ফি সংগ্রহ করে তিনদিনের ভেতর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এনটি