ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুষ্টিয়ায় সাবেক এমপিসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
কুষ্টিয়ায় সাবেক এমপিসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। ছবি: বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে নয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। 

রোববার (২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য কুষ্টিয়ার চারটি আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৪৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এদের মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র না থাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এছাড়া একই আসন থেকে ঋণ খেলাপির দায়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী রেজাউল হক (বাদল গ্রুপ) ও আয়কর রির্টান দাখিল না করায় মুসলীম লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকারের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

অন্যদিকে, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গফুর ও বশির আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা হয়। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র না পাওয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।  

অন্যদিকে, একই আসন থেকে ঋণ খেলাপির দায়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির তসির উদ্দিন ও জাসদ প্রার্থী রোকনুজ্জামান রোকনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওবাইদুর রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।