রোববার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা একে আলী আজম।
তার ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকা-৪ আসনে মোট ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঢাকা-৫ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করা হয় বিএনপির প্রার্থী সেলিম ভূঁইয়াসহ তিন জনের মনোনয়নপত্র। এ আসনে একজনের মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে।
ঢাকা-৬ আসনে ১৩ জনের মধ্য ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তবে বাতিল হয়ে গেছে ৩ জনের মনোনয়নপত্র।
ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হয়েছে। বাতিল হয়েছে বিএনপির প্রার্থী দলটির সাবেক নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তারসহ ৪ জনের প্রার্থিতা।
ঢাকা-৮ আসনে মোট ২২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিএনপির মির্জা আব্বাস, মহাজোটে রাশেদ খান মেননসহ ১৪ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল হয়েছে ৭ জনের।
ঢাকা-৯ আসনে মোট ১০ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাকিদের প্রার্থিতা ঘোষিত হয়েছে বৈধ। এ আসনে ৮০টি মামলা নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন বিএনপির অপর প্রার্থী হাবিবুর রশিদ।
ঢাকা-১০ আসনে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ঋণখেলাপীর অভিযোগে গণফোরাম প্রার্থী খন্দকার ফরিদুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আর এনবিআরে ৩ হাজার টাকা বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টি প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।
ঢাকা-১১ আসনে ১১ জন তাদের মনোনয়ন দাখিল করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার হলফনামায় ভুল থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। বাকিদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা-১২ আসনে মোট ৮ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে ২৬৭টি মামলা নিয়েও বৈধতা পেয়েছেন সাইফুল আলম নিরব এবং ৭২টি মামলা নিয়ে উতরে গেছেন আনোয়ারুজ্জামান।
একইভাবে ঢাকা-১৩ আসনে মোট ১২ জন প্রার্থীরও সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়
ঢাকা-১৪ আসনে মোট ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপী ও হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে ১৪টি মামলা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বৈধতা পেয়েছেন বিএনপি নেতা মুন্সি বজলুল বাসিদ আনজু ও ৬টি মামলা নিয়ে আছেন বিএনপির আরেক নেতা সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক।
ঢাকা-১৫ আসনে মোট ১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপীর অভিযোগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুকুল আমিনসহ তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঢাকা-১৬ আসনে ১৯ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ঋণখেলাপী, হলফনামায় তথ্য ভুল থাকায় গণফোরামের প্রার্থী খন্দকার ফরিদুল আকবর, বিএনপির প্রার্থী একে মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমানত হোসেনসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঢাকা-১৭ আসনে মোট ২৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিএনপি প্রার্থী শওকত আজিজসহ ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সংশোধনের জন্য ২ জনের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়।
ঢাকা-১৮ আসনে মোট ১২ জনের প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
ইএআর/এইচএ/