রোববার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার উপস্থিতিতে ওই বাছাই কার্যক্রম শেষ হয়।
জেলার ৫ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৬১ জন।
বাছাইয়ে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে সঠিক তথ্য না দেওয়ায় জাকের পার্টির মাহফুজুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেনা আফজালের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করলেও দলের সভানেত্রীর চিঠি না থাকায় শফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ পার্সেন্ট ভোটার তালিকার সই না থাকায় জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, গণফ্রন্টের প্রার্থী মো. সিরাজুল হক ও শাহাবুদ্দিন ছাড়াও ঋণ খেলাপির কারণে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ পার্সেন্ট ভোটার তালিকা সংযুক্ত না করা ও মামলার বিবরণ না দেওয়ায় ওই মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির সালাউদ্দিন খোকা মোল্লার মনোনয়ন বাতিল হয় স্ট্যাম্প না থাকায়। একই আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের ঋণ খেলাপি ও তার ছেলে জিএম কায়সার মনোনয়ন পত্র দিলেও সেখানে ১ পার্সেন্ট ভোটার তালিকার সই না থাকায় বাতিল করা হয়েছে। একই আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঋণ খেলাপি ও কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এপি