মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে রোববার (০২ ডিসেম্বর) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এমন তথ্য পাঠিয়েছেন।
২৮ নভেম্বর শেষ দিনে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
বাছাই শেষ: ৩-৫ ডিসেম্বর আপিল, ৬-৮ ডিসেম্বর নিষ্পত্তি
৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে ১৩টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। জমা পড়েছিল ২৩ মনোনয়নপত্র।
যেসব আসনে ৬টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে
ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি বাতিল, কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল হয়েছে।
বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে ৭টি, রাজশাহী-১ আসনে ১২টির মধ্যে ৮টি বাতিল, যশোর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে ৭টি বাতিল, ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে ৭টি বাতিল, ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে ৭টি বাতিল হয়েছে।
যে ৩৫টি আসনে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি
ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, জয়পুরহাট-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-২, নাটোর-৩, পাবনা-২ ও ৪, কুষ্টিয়া-৩, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, ৩, ৪, ৫, সাতক্ষীরা-৩, পটুয়াখালী-৪, ভোলা-৩, বরিশাল-৪ ও ৫, পিরোজপুর-২, টাঙ্গাইল-২, ৫, জামালপুর-২, নেত্রকোণা-৩, ঢাকা-১২ ও ১৩, নরসিংদী-৪, গোপালগঞ্জ-২, মৌলভীবাজার-৪, কুমিল্লা-৭, চাঁদপুর-৩, ফেনী-২, নোয়াখালী-৫, লক্ষ্মীপুর-৩, কক্সবাজার-১।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী ৩-৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন শুনানি করে আপিল নিষ্পত্তি করবে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর।
এছাড়া যাদের আবেদন বৈধ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশনে প্রমাণসহ আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনে তার শুনানিতে আইনজীবীর বক্তব্য প্রদানেও সুযোগ দেবে।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস