রোববার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল কবীর মুরাদ।
বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রগুলোর মধ্যে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনেই ছয়টি।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট ডিভিশন থেকে ঋণ খেলাপি হওয়ায় ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নারী সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী তার হলফনামায় স্বাক্ষরে না করায় মনোনয়নপত্র বাদের তালিকায় পড়েন।
এছাড়াও এই আসনটিতে ইসলামী অন্দোলনের আবু হানিফ আহম্মদ হোসেন, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের বদরুর রেজা সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের জুবায়ের আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নানের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়চং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে এক জনের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তিনি হলেন- বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. জাকির হোসেন। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে নয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এর মধ্যে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না করায় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মৌলানা আতাউর রহমান ও দলীয় মনোনয়নের কাগজ না থাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আব্দুল কাদিরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চনারুঘাট) আসনে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র মোহাম্মদ আব্দুল মমিন ও ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের মৌলানা মুহাম্মদ ছোলাইমান খান রব্বানীর হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় এবং জাকের পার্টিও মো. আনছারুল হক মামলার তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মাহুমুদুল কবীর মুরাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সর্বমোট ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
জিপি