ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সাক্ষাতে এসে প্রশ্নের মুখে এমপি প্রার্থী সিইসির ভাগ্নে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
সাক্ষাতে এসে প্রশ্নের মুখে এমপি প্রার্থী সিইসির ভাগ্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এসএম শাহজাদা

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ভাগ্নে পটুয়াখালী-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী এসএম শাহজাদা নির্বাচন ভবনে এসে দেখা করে গেছেন।

তার আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

কারণ জানতে চাইলে শাহজাদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘একেবারে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলাম। সিইসি’র মা মেহেন নেগা খানম অসুস্থ। তার ওষুধ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছি। কারণ এলাকায় এই ওষুধ পাওয়া যায় না। প্রেসক্রিপশন দিয়েই চলে এসেছি। আর কোনো কাজ ছিল না’।

আপনি একজন বৈধ প্রার্থী তাহলে ইসিতে কেন এলেন? এর  জবাবে শাহজাদা বলেন, আমি আজই ঢাকায় এসেছি। প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছি। এখানে না এলে তা কিভাবে দেবো।

আপনি কি সিইসি’র কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজাদা বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। এটা নিয়মে যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে। এতে আমার সহযোগিতা চাওয়ার কি আছে।

আপনি সিইসির ভাগ্নে, এক্ষেত্রে তিনি কি কোনো বিব্রত হয়েছেন, আপনার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তার কোনো সম্মতি ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোথায় সে কি করছেন, আমি কোথায় কি করছি, এটাতো খোঁজ রাখার ব্যাপার না। আমি তো তার পরিবারের অংশ না। আমি আত্মীয়, কিন্তু তার পরিবারের অংশ না। গণতান্ত্রিক অধিকার একজন নাগরিকের নির্বাচন করা। আমি তাই করেছি। আমি নিজে স্বাবলম্বী, তাই যেভাবে চলার সেভাবে চলি।

তিনি আরো বলেন, আমি যা আশা করেছিলাম, নির্বাচনের পরিবেশ তার থেকে অনেক সুন্দর। আমি শতভাগ আশবাদী জয়ের ব্যাপারে। আমার এলাকায় যেতে যে পথটা ২০ মিনিট লাগে, সে পথটা সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগেছে। কারণ আমি পথটুকু হেঁটে গিয়েছি, মানুষ রাস্তার দুইপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। পরিবর্তন মানুষের মনের ভেতরে আছে। তারা পরিবর্তন চায় সেটা আমি সিইসির ভাগ্নে বলে নয়। মানুষের চাওয়া ছিল, নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। সম্পূর্ণ  গণতান্ত্রিকভাবে দেশটা পরিচালিত  হয়।  আর আমার এলাকার মানুষ যেন ভালো থাকে সেজন্য আমি কাজ করবো।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আপিল দাখিল করা যাবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুনানি করে ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।