তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় অস্থাবর সম্পদে নগদ ও ব্যাংকে জমা শূন্য উল্লেখ করলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ব্যাংকে জমা ও নগদ অর্থ মিলে নিজ নামে প্রায় আড়াই কোটি টাকা রয়েছে বলে দেখিয়েছেন। তবে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে নেই কোনো সম্পদ।
এবারের হলফনামায় নিজেকে তিনি বি.কম পাস এবং ব্যবসায়ী, কৃষি ও মৎস্য চাষি উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পদের তালিকায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগদ ও ব্যাংকে জমার পরিমাণ কিছু নেই বলে উল্লেখ করলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগদ অর্থের পরিমাণ দেখিয়েছেন এক কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার ২১০ টাকা এবং ব্যাংকে জমা দেখিয়েছেন এক কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৩.০১ টাকা।
দশম সংসদ নির্বাচনকালে তার নিজ নামে কোনো গাড়ি না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্রি করের একটি গাড়ি রয়েছে তার। তবে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্রে কোনো পরিবর্তন নেই। গহনার ক্ষেত্রে দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ৩২ হাজার টাকার আর এবার লিখেছেন ২৫ তোলা।
আয়ের উৎস একই হলেও দশম সংসদের চেয়ে একাদশের হলফনামায় বহুগুণে বেড়েছে তার আয়। তার আয়ের বড় অংশ মৎস্য চাষ থেকে একাদশের হলফনামায় ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬০ টাকা, কৃষিখাত থেকে ৯২ হাজার ৪০০, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৯২ হাজার টাকা, তামাকের ব্যবসা ও সঞ্চয়ী সুদে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা, সম্মানী ভাতায় ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি হলফনামায় মাত্র ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার হিসাব দাখিল করেন।
স্থাবর সম্পদের বর্ণনায় কৃষি জমির পরিমাণ একই হলেও বেড়েছে মৎস চাষের জমি। দশম সংসদ নির্বাচনে মৎস চাষের খামারের মূল্য ৭০ হাজার উল্লেখ করলেও একাদশে উল্লেখ করেছেন ২৫ বিঘা। গ্রামে দালান, আবাসিক ভবন না বাড়লেও রাজধানীতে মাত্র ৩০ লাখ টাকায় রাজউকে একটি প্লট কিনেছেন তিনি।
ফৌজদারী মামলা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছিল না, এবারও তার নামে কোনো মামলা নেই। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ থাকলেও একাদশে কোনো দেনা নেই বলে উল্লেখ করেছেন নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি।
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
এসআই