জোটের সমন্বয়ক লতিফুর বারী সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার কাছে চিঠিটি জমা দেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখনো আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি করা হচ্ছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা মোহসীন মন্টুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর দেশের সবকিছু নির্বাচন কমিশনের আওতায় এসে যায়। সেই হিসেবে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণার পর রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। বিশেষ করে কোনো প্রার্থীকে হয়রানির প্রশ্নই আসে না। ’
‘রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হওয়া যেকোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। ঐক্যফ্রন্টের দাবি, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহ্বান, সংবিধানের বিধান মেনে সব রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রদানের অনুরোধ করা গেলো। ’
৩০০ আসনে বিএনপির মোট ৬৯৬ জন প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ৫৫৫ জন প্রার্থী বৈধ হিসেবে রয়েছেন।
আর আওয়ামী লীগের মোট ২৮১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে দলটির বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ২৭৮ জন।
এদিকে ২৮ নভেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনিতরা ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ওইদিন ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস