ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আব্বাসসহ অন্যদের মনোনয়ন জমা না নেওয়ার কারণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
আব্বাসসহ অন্যদের মনোনয়ন জমা না নেওয়ার কারণ

ঢাকা: আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে মির্জা আব্বাসসহ অন্যদের মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিলে তার ব্যাখ্যা নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ কাজী জাহাঙ্গীর। তার অভিযোগ, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত ২৮ নভেম্বর বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলেও তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি।

বিষয়টি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবর আবেদন জানান তিনি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে ইসি। যদিও প্রতিবেদনে রিটার্নিং কর্মকর্তা যথাযথভাবে মনোনয়ন দাখিল হয়নি মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
 
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের বিরুদ্ধে ঢাকা-৯ আসনের মির্জা আব্বাস ও ঢাকা-১৬ আসনের সাদাকাত খাঁন ফাক্কু মনোনয়নপত্র জমা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে কমিশনের কাছে অভিযোগ দেন। কমিশনের চাওয়া প্রতিবেদনের জবাবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কমকর্তারা জানিয়েছেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সবার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরে যারা এসেছেন তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
 
এছাড়াও নংরসিংদীর রিটার্নিং কর্মকতার বিরুদ্ধে নরসিংদী-৩ আসনে মনোনয়নপত্র গ্রহণে অনীহা প্রকাশের অভিযোগ তোলেন মো. আব্দুল লতিফ। আর রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী গোলাম রব্বানী রংপুর জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে, সাতক্ষীরা-৩ আসনের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে, টাঙ্গাইল-৮ আসনের মো. রেজাউল করিম টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মনোনয়ন গ্রহণে অনীহার বিষয়টি তুলে ধরে অভিযোগ করেন। তারাও আগ্রহী প্রার্থীরা যথাসময়ে উপস্থিত হননি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এবং যথাযথভাবে মনোনয়ন দাখিল না করার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খান জানান, প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারা জবাবে প্রার্থীদের সঠিক সময়ে (বিকেল ৫টা) উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি বলেছেন।
 
গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
 
বাতিল হওয়া প্রার্থীরা বুধবার পর্যন্ত আপিল শুরু করতে পারবেন। সোমবার প্রথম দিনেই ৮৪ আপিল আবেদন পড়েছে। এগুলোর মধ্যে নেত্রকোনা-১ আসনের বৈধ প্রার্থী মানো মজুমদারকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে তার প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য আবেদন করেছেন ওই আসনের অভিযোগকারী শাহ কুতুবুদ্দীন আহমদ। ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
 
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।