নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে তিনি মনোনয়ন ফরম পেলেও ভাগ্য খুলেছে অন্য দুই নেতার। তারা হলেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ভাতিজা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া আর অন্যজন বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য সমীরণ দেওয়ান।
দুর্নীতির মামলায় ২০ বছরের সাজা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে দুর্নীতির মামলায় সাজার ফলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে কারাবন্দি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী হলেও নির্বাচনে অযোগ্য হোন। সেসময় বিএনপির মনোনয়ন পান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সমীরণ দেওয়ান। তখন ওয়াদুদ ভূঁইয়ার আরেক ভাতিজা দাউদ-উল ইসলাম ভূঁইয়া স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। এটি আমাদের নীতিগত ও দলীয় সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী পরিবেশ থাকলে বিএনপি জয়ী হবে।
একই কথা জানালেন বিএনপির আরেক প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান। তিনি বলেন, কেন্দ্র চেয়েছে তাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আশা করি শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র আমাকে একক প্রার্থী ঘোষণা করবে। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র যা চাইবে তাই আমি করবো।
মূলত ২০০৭ সালে ওয়ান ইলাভেন সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং জরুরি বিধিমালা-২০০৭ এর ১৫ (ঘ) (৫) ধারায় ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। জ্ঞাত বহির্ভূত ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় জজ আদালত উপরোক্ত তিনটি ধারায় ৩ বছর, ১০ বছর ও ৭ বছর সাজা দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করেছে জেলা বিএনপি। এতে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং বিএনপি নেতাকর্মীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। মতবিনিময় সভা থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এডি/আরআর