নির্বাচন কমিশার মাহবুব তালুকদার মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) আপিল দাখিল কার্যক্রম পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গত ২ ডিসেম্বর ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার আপিল গ্রহণের দ্বিতীয় দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৯৯ জন প্রার্থী আপিল করেছেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, শুনানিতে আমরা যা কিছু করব, তা আইনানুগভাবেই আমাদের করতে হবে। কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব আমরা অবশ্যই দেখাব না। প্রতিটি কেসেরই (আপিল) মেরিট আমরা দেখব। আমি যেটা মনে করি, নির্বাচন কমিশন সব ব্যাপারেই একটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা আপেক্ষিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন সাজাপ্রাপ্ত হন, পরে আবার তিনি খালাসও পান। সেক্ষেত্রে আমি বলব, ন্যায়বিচার বিষয়টি পুরোপুরি আপেক্ষিক। কোনটা ন্যায়বিচার আর কোনটা নয়, সেটার বিচারক তো আমি নই।
উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে কি না এবং আপিলে কমিশন নিরপেক্ষতার পরিচয় দেবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার এককভাবে কোনো বক্তব্য দেওয়ার কথা নয়। এভাবে বলে তো আর লাভ হবে না। যারা আপিল করেছেন বা করছেন, শুনানিতে তারা তাদের তথ্যগুলো উপস্থাপন করবেন। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত কোনো অভিমত আমার নাই। আমরা অবশ্যই ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী।
রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমিও পত্রিকায় দেখেছি। এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী আপিল করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী সেলিম ও পঙ্কজ দেবনাথ নির্বাচন করতে পারবেন কি না- জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমার কথা হলো, এসব অভিযোগের প্রশ্নের উত্তর আমি এই মুহূর্তে দিতে পারি না। এই মুহূর্তে আমি এটার জন্য প্রস্তুত না। আমি কেবল দেখতে এসেছি, যারা আপিল করতে আসছেন, তাদের কোনো অভিযোগ আছে কি না। জমা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই, যদি দুই পক্ষই (আওয়ামী ও বিএনপি) অভিযোগ করে, আমরা এখন কী বলব? নির্বাচনী পরিবেশ আছে কি নেই সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারি। এই মুহূর্তে আমি কোনো কিছু বলার জন্য প্রস্তুত নই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ