এই নতুন ভোটাররা এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন অফিসের সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এ আসনে মোট ভোটার- ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৫ জন।
এর মধ্যে শ্রীমঙ্গলের মোট ভোটার হলেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৩০১ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ২৩৪ জন। কমলগঞ্জের মোট ভোটার- ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮৯ হাজার ৮৩৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮৯ হাজার ৫৬৪ জন।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫২টি। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৮০টি এবং কমলগঞ্জে ৭২টি। এ আসনে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৯ জন। এবার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৫ জন। গতবারের চেয়ে প্রায় ৪৭ হাজার নতুন ভোটার বেড়েছে।
নতুন ভোটাররা বলছেন, শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান, প্রযুক্তিতে তরুণদের সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি এবং যিনি সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করবেন, তাকেই তারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন।
এ আসনে জয়-পরাজয়ে নতুন এই ভোটাররা অন্যতম ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নিজেদের ভোটের পাশাপাশি এই তরুণরা অন্যদের ভোটদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তারা।
মারুফ আহমেদ নামে নতুন এক ভোটার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন যদি হয়, অবশ্যই ভোট দেবো। প্রার্থীরা উন্নয়ন বলতে বোঝেন রাস্তাঘাট ও নতুন নতুন ভবন তৈরি করে দেওয়া। আমরা নতুন ভোটাররা উন্নয়ন বলতে বুঝি বেকার শিক্ষিত লোকজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া। তাই প্রার্থীদের পুরনো ধ্যান-ধারণার পরিবর্তন করে নতুন পথে হাঁটতে হবে। যিনি নতুনদের মূল্যায়ন করবেন, তাকে ভোট দেবো।
নতুন ভোটার পলাশ কাহার বলেন, যার কথা ও কাজে মিল থাকবে এবং বিশেষ করে সব শ্রেণির মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করবেন, আমরা তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের ছাত্রী ফারজানা রহমান বলেন, এখন প্রযুক্তির যুগ। নতুন প্রজন্মকে এখন কারিগরি শিক্ষায় এগোতে হবে। যে সরকার কারিগরি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেবে, নতুন ভোটাররা তাকেই ভোট দেবেন।
এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত মহাজোটের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব), তার ছেলে মুঈদ আশিক চৌধুরী চিশতী, গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ দুলাল।
এ আসনে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
বিবিবি/আরএ